উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে মুসলমান সমাজ কিছুটা সচেতন এবং নিজেদের অবস্থার উন্নয়নে সচেষ্ট হয়ে উঠে। ইংরেজ সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিপীড়নের ফলেই মুসলমানরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত থেকেছে। ফলে তাদের মধ্যে এমন সব কুসংস্কার এসে বাসা বেঁধেছে যা তৎকালীন নারী সমাজের সর্বাধিক দুঃখের ও কষ্টের কারন হয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষে মুসলমান সমাজ কিছুটা সচেতন এবং নিজেদের অবস্থার উন্নয়নে সচেষ্ট হয়ে উঠেছিলেন। সমাজ পরিবর্তনের এ দায়িত্ব যারা হতে তুলে নিয়েছিলেন ফয়জুন্নেসা তাদেরই একজন। শিক্ষা, দীক্ষায়, কর্মে ও সম্পদে বাঙালি জাতি উন্নত হবে। প্রতিষ্ঠিত করে নিবে বিশ্বের বুকে আপন মর্যাদার আসন, এটাই ছিল তাঁর আজীবন সাধনা। উনবিংশ শতকের চতুর্থ দশকে পূর্ব বাংলার এক নির্ভৃত পল্লীতে জন্মগ্রহন করে যে নারী অমর অবদান রেখে গেছেন তা চিরদিন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা নওয়াব । তিনি অনেকটা নিজের অদম্য ইচ্ছার কারনে শিক্ষিত হন। শিক্ষা , সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল । জন্ম নওয়াব ফয়জুন্নেস...
শিল্প সাহিত্যের অনলাইন ঠিকুজি