
গত ৫ আগস্ট,
২০১৯ ভারতের রাষ্ট্রপতি কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে একটি অধ্যাদেশ জারি
করেন। এতে কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ভারতের এ সিদ্ধান্তের
ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় পাকিস্তান। তারা ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারকে
বহিষ্কারের পাশাপাশি দিল্লি থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে। পাশাপাশি দুই
দেশের বাণিজ্য স্থগিত এবং বাস ও ট্রেন যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়।
কাশ্মীর সংকটের
প্রেক্ষাপট বহু পুরনো। তবুও অনেকে এই সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়েছেন।
দুই পক্ষ
ভারত ও পাকিস্তানকে এজন্য ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের
মতে এই সংকটের সমাধান নিচে দেওয়া হল।
১। ভারতের
উচিত গণভোটের মাধ্যমে কাশ্মীরের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার মেনে নিয়ে দু’দেশের
মধ্যে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি করে নেয়া।
২। ভারত ও
পাকিস্তান উভয় দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খোঁজা। এক্ষেত্রে, জাতিসংঘ কিংবা অন্যান্য
মুসলিম দেশ মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা নিতে পারে।
৩। জাতিসংঘের
তত্ত্বাবধানে গণভোট অনুষ্ঠানে আয়োজন করা।
৪। বর্তমান
অবস্থায় কাশ্মীরে নিরাপত্তা, প্রশাসন, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন ঘটানো।
৫। সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে মুক্ত থাকতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক
ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রসার ঘটানো।
Comments
Post a Comment