আমার ইচ্ছে হয় না
প্রায় মধ্যরাতে লোকাল বাসের শেষ ট্রিপে ঝুলে ঝুলে
অন্ধকারে ধুলিভরা কুয়াশায় ভিজতে ভিজতে
অভুক্ত জ্বর কাতর শরীরটাকে নিয়ে
টলতে টলতে ক্যাম্পাসে ফিরি,
আমার ইচ্ছে হয় না
ক্যান্টিনওয়ালার ডেগচির কাছানো বরফের মত ঠাণ্ডা ভাত
আর পাতার মত নেতিয়ে পড়া মামলেট দিয়ে
ক্ষুধা নিবৃত্তির অপচেষ্টায় অর্ধেক প্লেট বমিতে ভরে ফেলি
আর দু গ্লাস জলের সুবাদে
কোন রকম নিঃশ্বাস নিয়ে কাটিয়ে দেই নির্ঘুম রাত
আমার ইচ্ছে হয় না
কমলাপুর রেলওয়ে ব্রিজের উপর সাজিয়ে রাখা সুদৃশ্য
স্ট্রবেরী খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে ময়লা কাগজের মত
ছুঁড়ে মেরে ডাস্টবিনে ফেলে দেই
আমার ইচ্ছে হয় না
স্বাদ নিয়ে বড্ড খুঁতখুঁতে আমার জিহ্বায় লাগাই
টিউশনের পিঁপড়া- ভাসা চিনিহীন খয়েরি তরল।
নিম্নাংশ ক্ষয়ে যাওয়া রংচটা জিন্সের ক্ষুব্ধ কয়েকটি সুতো
যখন বলে ওঠে,
আজ লিংকন – মার্ক্স বেঁচে থাকলে তাদের শ্মশ্রু ছিঁড়ে
বাচ্চাদের উপহার দিতাম
যাতে তার বিনিময়ে বাচ্চারা কিছুক্ষণ কটকটি চিবোতে পারে,
তাদের সঞ্চয়ী পাঁজির উপযুক্ত স্থান
বারবিকিওর অভিজাত চুলো
তখন আমার কণ্ঠেও
লক্ষ লক্ষ প্রলেতারিয়েত ক্ষোভ
অসংখ্য অপঘাত, বঞ্চনার সমাকলনে
নিঃশঙ্ক ধ্বনিতে উচ্চারিত হলো,
রাষ্ট্র একটা বাইনচোদ সংগঠন।
Comments
Post a Comment