১. মহামারি স্থির সময় অথির বেগে দ্যাখায় যেন অসময়ের ফল। ২. মিতালি ওসব কথা থাক- একটু নিবিড় চঞ্চু তোমার নদীর যেন বাঁক। দৃশ্যে মাখো কালি - তীরে বসে দেখছি নদী দিচ্ছি শিস আর তালি। দন্তসমেত হাঙর ছোটে করাল স্রোতে তোর আমি ডাকি শান্ত দোয়েল তাতেই নষ্ট ভোর! আজকে এসব রাখ- অল্প কথার কথকতা দূর মিলিয়ে যাক। ৩. প্রাপ্তি মেঘের কান্না দেখব বলে আকাশে তাকিয়েছিলাম নেই, নেই কান্না শুধু এ মনেই। ঊষরতা পাবো বলে মরুভূমি চেয়েছিলাম নেই, নেই ফুল ফোটা সবখানেই। কাকে ছোঁব বলে যেন হাত বাড়িয়ে ছিলাম নেই, নেই রয়ে গেছে সে চির ভাবনাতেই। ৪. স্বাধীনতার সনেট ভেসে ছিল দেশ যবে শোণিত ধারায়, আর্তের ক্রন্দনে ছিল স্পর্শ বেদনার। পাখির সুরেলা কণ্ঠ বন্ধ ছিল হায়! হৃদয়-রক্ত ক্ষরণে বাংলা নিঃসাড়, রবির কিরণ নেই ঊষা-নীলিমায়, আকাশে ভাসল ধোঁয়া বারুদ বোমার পান্থ শ্রান্তি সারল না অশ্বত্থ ছায়ায়- অপরাহ্ণে নেমে এল নিকষ আঁধার! মাঠের সবুজতায় রক্তিম পরশ স্বাধীন প্রাণ স্পন্দন এলো অবশেষে- কণ্ঠে জাগাল সংগীত সপ্তসুর এসে! চেতনার রন্ধ্রে পূর্ণ গভীর হরষ উচ্ছসি হল উদ্ভাস। আজো বহমান। স্বাধীন-তটিনী-ধারা, হবে না প্রয়াণ। ৫. অপহৃত আকাশ যদি না কখনো গোধূ...
প্রথমেই বলে রাখি, যে কোন কিছু সেরা বা প্রিয় হওয়া ব্যক্তি নিরপেক্ষ। সময়ের সঙ্গে তার বদল ঘটতেও পারে। তবু এ মুহূর্তে আমার দেখা অসংখ্য সিনেমার মধ্যে কিছু সিনেমা অনেকের ভাল লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস। সেই ১৮৯৫ সালে প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমার পরে বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত কম হলেও ২৫ লক্ষ সিনেমা তৈরি হয়েছে! খুব স্বাভাবিকভাবে একজন মানুষ সারা জীবনে এর সিকিভাগ সিনেমাও দেখে শেষ করতে পারবে না। বই ও সংগীতের পরে আমার কাছে বিনোদন ও শিক্ষার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মনে হয় সিনেমাকে। বেছে বেছে সিনেমা দেখলেও সব ছবি হৃদয় ও মগজে একসাথে দাগ কাটে না। কিছু ছবির গল্প অনুপ্রেরণার মাধ্যমে স্বপ্নকে তাড়িয়ে তোলে। কিছু ছবির সিনেমাটোগ্রাফি এত দৃষ্টিনন্দন যে চোখের রেটিনায় লেপ্টে থাকে দীর্ঘদিন। কখনো সংলাপ, কখনো অভিনয় কিংবা সব মিলিয়ে একটি ছবি হয়ে ওঠে অনন্য ও দর্শকপ্রিয়। করোনাকালের এই অবসরে বসে বসে আমার দেখা সেরা ২০ টি সিনেমার একটি তালিকা তৈরি ফেললাম। ১। ফরেস্ট গাম্প (১৯৯১) ফরেস্ট গাম্প এক বোকা লোকের সহজ সরলভাবে বেঁচে থাকার গল্প। ফরেস্ট গাম্প কীভাবে ঘটনাক্রমে তার জীবনকে আমেরিকার ইতিহাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্...